১। ড্রাই সেলে পজিটিভ ও নেগেটিভ প্লেট হিসেবে কি ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ পজিটিভ প্লেট হিসেবে কার্বন দন্ড ও নেগেটিভ প্লেট হিসেবে দস্তার পাত্র ব্যবহৃত হয়। ২। ড্রাই সেলে ইলেকট্রোলাইট হিসেবে কি ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ ইলেকট্রোলাইট হিসেবে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl)-এর পেস্ট ব্যবহৃত হয়। ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এর বেস্ট ব্যবহৃত হয় ৩। ড্রাই সেলের ডিপোলারাইজার কী? অথবা ড্রাই সেলের ডিপোলারাইজার হিসাবে কী ব্যবহার করা হয়? অথবা ডিপোলারাইজার কাকে বলে? উত্তরঃ ড্রাইসেলের ডিপোলারাইজার ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড (MnO2)। ৪। ড্রাই সেলের ই.এম.এফ কত? উত্তরঃ ড্রাই সেলের ই.এম.এফ 1.5 ভোল্ট। ৫। অ্যালকালাইন ব্যাটারির পজেটিভ ও নেগেটিভ প্লেট কী পদার্থের তৈরি? অথবা এডিশন ব্যাটারীতে পজেটিভ ও নেগেটিভ হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ পজিটিভ প্লেট হিসেবে নিকেল হাইড্রোক্সাইড [Ni(OH)2] অথবা নিকেল পার অক্সাইড (NiO2),নেগেটিভ প্লেট হিসেবে গুঁড়া লোহা এবং এর সাথে অক্সাইড সেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য সামান্য পরিমাণ নিকেল সালফেট ও ফেরাস সালফাইড যোগ করা হয়। ৬। এডিসন ব্যাটারি পরিবাহিতা বৃদ্ধির জন্য কি করা হয়? উত্তরঃ পরিবাহিতা বৃদ্ধির জন্যে এর পজিটিভ প্লেটে 17% গ্রাফাইট মিশ্রণ করা হয়। ৭। এডিসন ব্যাটারির আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির জন্যে কি করা হয়? উত্তরঃ ব্যাটারির আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির জন্য 2% বেরিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Ba(OH)2] যোগ করা হয়। ৮। এডিসন ব্যাটারিতে ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে কি ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে 21% পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) সলুশন ব্যবহৃত হয়। ৯। এডিসন ব্যাটারিতে পজিটিভ ও নেগেটিভ প্লেটগুলোর মাঝখানে কি থাকে? উত্তরঃ প্লেটগুলোর মাঝখানে এবোনাইটের শলাকা থাকে, যাতে শর্ট-সার্কিট না হয়। ১০। এডিসন ব্যাটারির বহিরাবরণ বা পাত্রটি কিসের তৈরি? উত্তরঃ বহিরাবরণ বা পাত্রটি নিকেল প্রলেপযুক্ত ইস্পাতের তৈরি। ১১। নিকেল ক্যাডমিয়াম ব্যাটারীর পজেটিভ প্লেট ও নেগেটিভ প্লেট হিসেবে কি ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ পজেটিভ প্লেট হিসেবে নিকেল হাইড্রোক্সাইড ( NiO2) এবং নেগেটিভ প্লেট হিসেবে ক্যাডমিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Ca(OH)2)ব্যবহৃত হয়। ১২। নিকেল ক্যাডমিয়াম ব্যাটারীতে কি ইলেক্ট্রোলাইট ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ এই ব্যাটারীতে ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) ব্যবহৃত হয় । ১৩। নিকেল ক্যাডয়িাম ব্যাটারির প্রতিটি সেলের আউটপুট ভোল্টেজ কত? উত্তরঃ প্রতিটি সেলের আউটপুট ভোল্টেজ 1.2 ভোল্ট। ১৪। ড্রাইসেলের ভোল্টেজ এবং অভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্স কত? উত্তরঃ 1.5 ভোল্ট এবং অভ্যন্তরীণ রোধ 1.2 ওহম। ১৫। লেড-অ্যাসিড সেলের বহিরাবরণ কিসের তৈরি হয়? উত্তরঃ এই বহিরাবরণ ব্যাকেলাইট,কঠিন রাবার বা বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক অথবা কাচের তৈরি হয়। ১৬। ড্রাই সেল তৈরিতে কী কী মালামাল লাগে? উত্তরঃ কার্বন দন্ড, দস্তা পাত্র,ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইড, কার্বন গুঁড়া, অ্যামোনিয়াম ক্লোবাইড, চোষ কাগজ , কার্ডবোর্ড,পিচ। ১৭।ড্রাইসেলের সাইজ উল্লেখ কর। উত্তরঃ ড্রাই সেল সাধারণত তিন সাইজে তৈরি হয়,যথা- ১। ডি-টাইপ ২।মিডিয়াম টাইপ৩। পেন্সিল টাইপ ১৮। লেড-লেড অ্যাসিডসেলে পজিটিভ হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়? অথবা,লেড-লেড অ্যাসিড সেলে পজিটিভ প্লেট হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ লেড পারক্সাইড ব্যবহৃত হয়। ১৯। লেড-লেড অ্যাসিড সেলে নেগেটিভ হিসেবে কী ক্যবহৃত হয়? উত্তরঃ নেগেটিভ প্লেট হিসেবে স্পঞ্জি লেড () ব্যবহৃত হয়। ২০। লেড-লেড অ্যাসিড সেলে ইলেকট্রোলাইটের অনুপাত কত থাকে? উত্তরঃ সালফিউরিক অ্যাসিড ও পানির অনুপাত (1ঃ3) থাকে। ২১। সেপারেটরের কাজ কী? অথবা সঞ্চয়ী সেলে সেপারেটর কেন ব্যবহার করা হয়? অথবা লেড অ্যাসিড সেলে সেপারেটর কেন ব্যবহার করা হয়? অথবা ব্যাটারিতে সেপারেটর কেন ব্যবহার করা হয়? উত্তরঃ পজিটিভ প্লেট ও নেগেটিভ প্লেটকে শর্ট-সার্কিটের হাত থেকে রক্ষা করে। ২২। সেপারেটর হিসেবে কি ব্যবহৃত হয়? অথবা, লেড-লেড অ্যাসিড সেলে সেপারেটর হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়। উত্তরঃ সেপারেটর হিসেবে সিডার উড, গ্লাস, উলমেট,গ্লাস উল,রাবার ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। ২৩। পূর্ণ চার্জিত অবস্থায় লেড-লেড অ্যাসিড সেলের ইএমএফ এবং অভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্স কত? উত্তরঃ ইএমএফ 2.2 ভোল্ট এবং অভ্যন্তরীণ রোধ 0.025 - 0.01 ওহম। ২৪। ট্রিকল চার্জ কী? উত্তরঃ কোনো সেলকে কম অ্যাম্পিয়ারে দীর্ঘক্ষণ ধরে চার্জ করাকে ট্রিকল চার্জ বলে। ২৫। কীসের সাহয্যে সঞ্চয়ী ব্যাটারির আঃ গুরুত্ব মাপা হয়? অথবা, কীসের সাহায্যে সঞ্চয়ী ব্যাটারির আপেক্ষিক গুরুত্ব পরিমাপ করা হয়? উত্তরঃ হাইড্রোমিটারের সাহায্যে আঃ গুরুত্ব মাপা হয়। ২৬। লেড-লেড অ্যাসিড সেলের ইলেট্রোলাইট হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ সালফিউরিক অ্যাসিড () ২৭। লেড অ্যাসিড সেলে একটি নেগেটিভ প্লেট অতিরিক্ত ব্যবহৃত হয় কেন ? অথবা, লেড অ্যাসিড ব্যাটারিতে পজিটিভ প্লেট নেগেটিভ প্লেট একটি বেশি থাকে কেন? উত্তরঃ সেলের যান্ত্রিক শক্তি বৃদ্ধি এবং সেলের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া সুষ্টুভাবে হওয়ার জন্য এবং বিক্রিয়ার ফলে প্লেট যাতে বেঁকে না যায় এ জন্য লেড অ্যাসিড সেলে একটি নেগেটিভ প্লেট অতিরিক্ত ব্যবহৃত হয়। ২৮। পূর্ণচার্জ অবস্থায় লেড অ্যাসিড সেলের ই.এম.এফ ও আপেক্ষিক গুরুত্ব কত থাকে? অথবা, পূর্ণ চার্জ অবস্থায় ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইটের আপেক্ষিক গুরুত্ব কত? উত্তরঃ সেলের ইএমএফ 2.2 ভোল্ট এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব 1.3 । ২৯। নিকেল ক্যাডমিয়াম অ্যালকালাইন ব্যাটারি কী ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়? উত্তরঃ হালকা, মজবুত গঠন এবং অধিক তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে বলে এ ব্যাটারি গ্যাসোলিন ইঞ্জিন স্টার্ট দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মুভি ক্যামেরা ,টেপ, রেকর্ডার, ক্যালকুলেটর ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। ৩০। ব্যাটারি বলতে কী বুঝায়? উত্তরঃ ব্যাটারি হলো কতকগুলো সেলের সমষ্টি অর্থাৎ, একাধিক সেল দ্যৈুতিকভাবে সংযোগ করলে, তাকে ব্যাটারি বলা হয়। ৩১। সেপারেটর কোথায় অবস্থান করে? উত্তরঃ সেপারেটর বস্তুত একটি ইনসুলেটর, যার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে না। সেপারেটরগুলোর এক পার্শ্ব বিশেষভাবে খাড়াখাড়িভাবে সরু খাঁজকাটা ছিদ্রযুক্ত এবং অন্য পার্শ্ব মসৃণ সীভার কাঠের তৈরি। খাঁজকাটা পার্শ্বটি পজিটিভ প্লেটের দিকে এবং মসৃণ পার্শ্বটি নেগেটিভ প্লেটের দিকে রাখা হয় । ৩২। সেকেন্ডারি সেলের ব্যবহার লেখ। উত্তরঃ সেকেন্ডারি সেলের ব্যবহার নিম্নরুপ- ১। বাতি জ্বালানো,২। হর্ণ বাজানো।,৩। মোবাইল,৪। গাড়ি স্টার্ট দেওয়া ইত্যাদি। ৩৩।এসি ও ডিসি মেশিনস বলতে কী বুঝায়? উত্তরঃ যে মেশিন অল্টারনেটিং কারেন্ট দ্বারা পরিচালিত হয়,তাকে এসি মেশিন বলে।যেমন- সিনক্রোনাস মোটর, ইন্ডাকশন মোটর ইত্যাদি। এবং যে মেশিন ডাইরেক্ট কারেন্ট দ্বারা পরিচালিত হয়, তাকে ডিসি মেশিন বলে। যেমন- ডিসি জেনারেটর, মোটর ইত্যাদি। ৩৪। অ্যালকালাইন ব্যাটারি কাকে বলে? উত্তরঃ যে-সকল ব্যাটারিতে অ্যাসিডের (অম্ল) পরিবর্তে অ্যালকালি (ক্ষার) ব্যবহার করা হয়, সে-সকল ব্যাটারিকে অ্যালকালাইন ( Alkaline) ব্যাটারি বলা হয়।
***ডিপলোমা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এটি একটি গুরুত্যপূর্ণ ওয়েবসাইট।এই ওয়েবসাইটে সকল বিভাগের বইয়ের প্রশ্ন এবং উত্তর পাওয়া যাবে।যে সকল ছাত্র ছাত্রী টাকার জন্য বই কিনতে পারে না বা বই হারিয়ে গিয়েছে আশা করি তারা এই ওয়েবসাইট থেকে উপকৃত হবে।***
এই ব্লগটি সন্ধান করুন
NEW POSTS
MAN LEARNING BDনভেম্বর ১৬, ২০২২
HP, KV, KW, KVA এইগুলো কি বা এর ফুল-ফর্ম কি? এগুলো কোথায় কোথায় কি কাজে ব্যবহার করা হয়…